কেউ কোনো বিষ ভুলবশতঃ খেয়ে ফেললে অথবা যে-কোনো ধরনের বিষ কোনোভাবে পেটে চলে গেলে তাকে নষ্ট করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা দেশি গাওয়া ঘি (৫০-১৫০ গ্রাম রোগী যতটা খেতে পারে) চুলায় চাপিয়ে গলিয়ে তরল করে নিয়ে তাতে ১৫-২০ টা গোলমরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ালে সেই বিষের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়।
বিবিধঃ
(১) বিষ পেটে চলে গেলে যদি জানতে না পারা যায় যে তা কি বিষ বা কিসের বিষ তাহলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে ভরপেটে দুধ খাইয়ে দিয়ে বমি করান। গলা পর্যন্ত দুধ খাওয়ালে বমি হয়ে যায়। দুধ পেটে গেলেই তা কেটে যায় এবং ছানা-ছানা দুধে পুরো বিষ জমে গিয়ে বমির সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর রোগী যতটা খেতে পারে ততটা পরিমাণে দেশি ঘি খেতে দিন। এতে প্রভূত লাভ হয়।
(২) মানুষের মূত্রে প্রায় সব ধরনের বিষকে নষ্ট করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। সাপের কামর, বিছা, পাগল কুকুর ইত্যাদির কামড় অথবা বিশাক্ত কাঁটা শরীলে ঢুকলে বা স্পর্শ করলে আফিম জাতীয় মাদক দ্রব্য অত্যাধিক সেবন করলে বা ধাতু জাতীয় জিনিস থেকে উৎপন্ন বিষ প্রভাব দূর হয়। এছাড়া দেশি- বিদেশি ওষুদের বিষক্রিয়া কুপথ্য সেবন জনিত দুষ্প্রভাব ইত্যাদি দূর করতে মূত্রের মধ্যে অপরিমিত শক্তি বর্তমান।
মন্তব্য ও পরামর্শঃ
(১) যে- কোনো ধরনের বিষে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে বমি করানো সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে কেউ কেউ মনে করেন, অম্ল বা দাহক পদার্থের বিষে বমি করানো ক্ষতিকারক।
কিভাবে বমি করাবেনঃ
এক কাপ গরম জলে এক চামুচ রাই (পেযা) বা গুড়োঁ করা লবন দিয়ে দিয়ে রোগীকে পান করতে দিন। এতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রোগীর বমি ভালো হয়ে যাবে।
বিরেচনঃ
বিরেচন অর্থাৎ মল নিঃসারক। দুধের মধ্যে দ্বিগুন পরিমান রেড়ির তেল বা ক্যাস্টর অয়েল মিশায়ে খেতে দিন।
বিকল্পঃ
বিষ সেবন করার ফলে বা রক্তের মধ্যে দূষিত জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে গেলে যদি সমস্ত শরীর বিষাক্ত হয়ে যায় তাহলে গুড়োঁ করা হলুদ ২ গ্রাম (বা আধ চামচ) মাত্রায় ২০০ গ্রাম গরুর দুধের (গরম) সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে খেতে দিলে অল্প কিছুদিন মধ্যে আস্তে আস্তে শরীর বিষমুক্ত হয়ে যায়।